একটি সরকারী অনুদানে প্রতিষ্ঠিত স্বায়ত্বশাষিত শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি), অন্যটি বেসরকারী অর্থায়নে পরিচালিত আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম (আইআইইউসি)।
শাবিপ্রবি তে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর প্রশাসনের মদদে ন্যাক্কারজনক ভাবে হামলা চালানো হয়েছে। হামলার প্রতিবাদে ছাত্র-ছাত্রীরা সোচ্চার হলে অন্যায়ভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ও হল বন্ধ ঘোষনা করে দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এ আচরণে কি বিজ্ঞান বা প্রযুক্তির কোন ছাপ আছে? বরং দেখা যাচ্ছে এখানে অজ্ঞানতা, জোর জবরদস্তি ও যুক্তিহীনতার ছাপ স্পষ্ট। যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির নাম ভাঙ্গিয়ে মানুষকে আকৃষ্ট করছে সেখানে কেন এই বিভীষিকার চর্চা? কেন গুলি, টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিয়ে ছাত্রদের উপর জিঘাংসা মূলক অত্যাচার?
আমরা কী তাহলে বলতে পারি এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম ও কাজের মিল নাই?
একই ভাবে খবরে প্রকাশ আইআইইউসি তে ৯ জন শিক্ষক কে আকস্মিক বরখাস্ত করা হয়েছে। কোন প্রকার কারণ দর্শানো ছাড়া এবং সম্পূর্ণ অন্যায় ও বে-আইনী ভাবে এই বরখাস্ত আদেশ দেয়া হয়েছে।
তাদের পরিবার পরিজন হঠাৎ করেই অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তায় নিপতিত হবে, মানসিকভাবে অসহায়ত্বে পড়বে। ইসলামী নীতির এটা সম্পূর্ণ বরখেলাপ এবং সুষ্পষ্ট জুলুম।
ইসলামী নীতি মানেন না অথচ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়!! এখানেও নাম ও কাজের বৈপরীত্য পরিস্কার।
নাম ও কাজের মিল না থাকলে মানুষ বিভ্রান্ত হয়, ক্ষেত্রবিশেষে প্রতারিত হয়। নাম ও প্রতিশ্রুতির প্রতি সুবিচার করতে না পারলে এ ধরনের প্রতিষ্ঠান গুলোর নাম বদলিয়ে দেয়া দরকার।
আমরা শাবিপ্রবিতে হামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি করছি। অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় ও হল খুলে দিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সুষ্ঠু চর্চা নিশ্চিত করার আহ্বান জানাচ্ছি।
এর পাশাপাশি আইআইইউসি কর্তৃপক্ষের অন্যায়ভাবে দেয়া ৯ শিক্ষকের বরখাস্তের আদেশ বাতিল করে তাদের কে স্বপদে পূণর্বহালের দাবি জানাচ্ছি। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামী নীতি মেনে শিক্ষা ও প্রশাসন পরিচালনার আহ্বান জানাচ্ছি।