ফরিদুল ইসলাম রানা, লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি : কথাটি শুনতে অবাক লাগলেও ঘটনাটি ঘটেছে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার কুচলীবাড়ি ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড সততার বাজার থেকে ২০ ফিট অদুরেই অবস্থিত কুড়ে ঘরটির মালিক ৯৫ বছর বয়সি আজিজার রহমানের।
আধুনিক বিশ্বের উন্নয়নের যুগে বয়স্ক ভাতার টাকায় সংসার চালিয়ে বসবাস করছেন ৯৫ বছর বয়সী আজিজার রহমান ও ৭৫ বছর বয়সী তার স্ত্রী আবিয়া খাতুন ।
বর্তমানের উন্নয়নের যুগে কথাটি শুনতে অবাক লাগলেও সেটিই বাস্তবে পরিনত হতে দেখা গেছে। ২০২১ এ এসে চারিদিকে উন্নয়ন ছড়িয়ে গেলেও এই বৃদ্ধ যুগলের উন্নয়ন বলতে জীর্নশীর্ন ছনের ঘর। বয়স্ক ভাতার টাকায় যেন চলে সংসার।
বৃদ্ধ বয়সে চলতে পারেন না। করতে পারেন না কোন কাজ। থাকার যে ঘরটি রয়েছে, সেখানেও ঢুকছে শো শো করে বাতাস। আশেপাশে বড় বড় দালান ও টিনের ঘর থাকলেও তাদের রয়েছে ছনের ঘর। সেটিও মেরামতের অভাবে জীর্ণসীর্ন। মনে হলো হালকা কোন ঝড়ে ভেঙে যাবে ঘরটি। ঘরের ভিতরে থাকার চৌকিটিও যেন বলছে নতুন কিনতে হবে চৌকি আর পারছি না সেবা দিতে।
সামান্য থালা- বাসনসহ ঘরে একটি পুরনো কাঠের বাক্স থাকলেও ভিতরে নেই কিছুই। বাড়ির ভিটেমাটি বলতে খাস জমিতে সামান্য জায়গায় ছনের ঘর। সেটিও অনিশ্চিত কবে যেন চলে যেতে হয় তাদের। কিন্তু কোথায় যাবেন শেষ বয়সে এই বৃদ্ধ- বৃদ্ধা সেটিও জানা নাই তাদের।
দুই মেয়ে এক ছেলে থাকলেও মেয়েদের বিয়ে দিয়েছেন অনেক কষ্টে। জামাইকে আপ্যায়ন করার জন্যেও নেই কোন অর্থ। এ নিয়ে তাদের আফসোসের নেই শেষ। যে ছেলেটি রয়েছে সে দিন মজুর হওয়ায় নিজের সংসার নিয়ে হিমিশিম খেতে হয়। তাই বৃদ্ধ বয়সে চাইলেন বৃত্তবান ও সরকারী সাহায্য যেন এই বয়সে একটু সুখ- শান্তির পরশ পান তারা। দোয়া করতে চান সবার জন্য।
জীবন ঘনিষ্ঠ একটি সংবাদ
বেশ ভাল লেগেছে।