স্টাফ রিপোর্টার : আজ রবিবার মধ্যরাত থেকে বরগুনাসহ দেশের উপকূলীয় সাগর ও নদীতে ২২ দিনের ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞাশুরু হচ্ছে । এ নিষেধাজ্ঞা আগামী ২৫ অক্টোবর মধ্যরাত পর্যন্ত চলবে। বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ দেব বলেন, ২২ দিনের ইলিশ সংরক্ষণের বিষয়ে সকল ধরণের প্রস্তুতি নেয়া সম্পন্ন হয়েছে। জেলে সংগঠন, মৎস্যজীবী, আড়তদারসহ ওয়ার্ড পর্যায়ে সচেতনতামূলক সভা করা হয়েছে। জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্সের সভা করে করনীয় বিষয়য়েসিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনে ইতোমধ্যে যে সকল এলাকায় ইলিশ সংরক্ষণের কার্যক্রম নেই ঐ সকল এলাকার কর্মকর্তাদেরকে বরগুনায় পদায়ন দেয়া হয়েছে।
মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বিষখালী, বুড়ীশ্বর (পায়রা) বলেশ্বর নদীর ৪০টি পয়েন্ট নির্ধারণ করা হয়েছে। এই সকল পয়েন্টে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কেউ মা ইলিশ ধরলে কিংবা, মজুদ, বিক্রি করলে তাৎক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ আদালতের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতি বরগুনা জেলার সভাপতি আ. খালেক দফাদার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমাদের সমিতির সদস্যরা সরকারের নিষেধাজ্ঞা আদেশের উপর শ্রদ্ধাশীল। সরকার জেলেদের নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে, তারপরও যদি কেউ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তাদেরকে সাজার আওতায় আনার দাবি জানান এই মৎস্যজীবী নেতা।
পাথরঘাটার মৎস্যজীবী শ্রমিক ইউনিয়ন নেতা মো. দুলাল মিয়া বলেন, আমাদের ইলিশ ধরার ট্রলার ইতোমধ্যে তীরে আশ্রয় নিয়েছে। কোন জেলে শ্রমিকই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করবে না বলে আশা করছি।
ইলিশ মাছ ধরা বন্ধ করে কি লাভ হবে বুঝতে পারলাম না। মাছ না ধরলে মাছগুলো উজানের দেশে চলে যাবে। ফলে আমাদের কোনই লাভ হবে না।